শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১২

নাম রক্ষা করার সহজ উপায়


স্থান: লন্ডন
কাল: জুলাই ২০১০
চরিত্র: লন্ডন সফরকারী বাংলাদেশি বিজনেসম্যান আদিল, বৃটিশ ইমিগ্রেশন অফিসার জোনস, ট্যাক্সি ড্রাইভার টম, রানী এলিজাবেথের প্রাইভেট সেক্রেটারি ও রানী এলিজাবেথ।

দৃশ্য ১
এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন কাউন্টার
বিজনেসম্যান আদিল (চিন্তিত চেহারায় পাসপোর্ট বাড়িয়ে দিয়ে): আচ্ছা, আমি কি সঠিক এয়ারপোর্টে এসেছি? চারদিকে নাম দেখছি সেইন্ট জর্জ (St. George) এয়ারপোর্ট। বিজ্ঞাপন দেখছি, ওয়েলকাম টু সেইন্ট জর্জ এয়ারপোর্ট, টেক এ ফাস্ট ট্রেন ফ্রম সেইন্ট জর্জ এয়ারপোর্ট টু সিটি সেন্টার, গেট ফর্টি পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট অন ডিউটি ফ্রি গুডস অ্যাট সেইন্ট জর্জ এয়ারপোর্ট। এটা কি লন্ডনের হিথরো এয়ারপোর্ট নয়?
ইমিগ্রেশন অফিসার জোনস (পাসপোর্ট নিয়ে পাতা ওলটাতে ওলটাতে): স্যার, আপনি সঠিক এয়ারপোর্টেই ল্যান্ড করেছেন। এটাই হিথরো এয়ারপোর্ট। বৃটেনের সবচেয়ে বড় এয়ারপোর্ট তো বটেই — তাছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টও এটি। এই এয়ারপোর্ট দিয়ে বছরে প্রায় সাত কোটি প্যাসেঞ্জার এবং তের লাখ টন কার্গো চলাচল করে। লন্ডনের পশ্চিম দিকে ১৯৪৬-এ একটা তাবু খাটিয়ে এই এয়ারপোর্টের সূচনা হয়েছিল। এখন এই এয়ারপোর্টের চারটি টার্মিনাল ভবন আছে। টার্মিনাল ফাইভের উদ্বোধন হবে আগামী বছরে। আপনি এসেছেন টার্মিনাল থ্রিতে।
আদিল: তাহলে এখানে হিথরো এয়ারপোর্ট কোথাও লেখা নেই কেন? আগে তো ল্যান্ড করে সর্বত্রই দেখতাম, ওয়েলকাম টু হিথরো, সাইন। এখন সবখানেই দেখছি সেইন্ট জর্জ এয়ারপোর্ট সাইন! ব্যাপার কী?
জোনস: গত মাসে ইলেকশনে টোরি পার্টি বিরাট মেজরিটি নিয়ে জেতার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দলীয় নেতা ডেভিড ক্যামেরন। তারই অর্ডারে হিথরো এয়ারপোর্টের নাম বদলে গেছে। নতুন নাম হয়েছে সেইন্ট জর্জ এয়ারপোর্ট।
আদিল: সেইন্ট জর্জ? সেইন্ট জর্জ কে?
জোনস: সেইন্ট জর্জ হচ্ছেন ইংল্যান্ডের পেট্রন সেইন্ট। তার প্রতীক হচ্ছে একটি শাদা পটভূমিকায় একটি লাল ক্রস। এটাই ইংল্যান্ডের ফ্ল্যাগ এবং বৃটিশ ফ্ল্যাগেরও অংশ। ইউনিয়ন জ্যাক নামে যে বৃটিশ ফ্ল্যাগ আছে, সেটা মনোযোগ দিয়ে দেখুন। দেখবেন সেখানে একটি লাল ক্রস আছে। কথিত আছে, দ্বাদশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের রাজা রিচার্ড দি লায়নহার্ট, যিনি ক্রুসেডের জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন, তিনি সেইন্ট জর্জের নামে লড়াই করতেন এবং পরবর্তী সময়ে তার নাম ইংল্যান্ডে প্রতিষ্ঠা করেন। এখন দেশের গভীর বিপদের সময়ে ইংল্যান্ডবাসীরা সেইন্ট জর্জের সাহায্য প্রার্থনা করে। কথিত আছে, সেইন্ট জর্জ ঘোড়ার পিঠে চড়ে, একটি লাল ক্রস আকা ঢাল নিয়ে, এক হিংস্র ড্রাগনের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয়ী হয়েছিলেন। আসল সেইন্ট জর্জ ছিলেন একজন রোমান সৈন্য। ক্রিশ্চিয়ানদের যখন রোমানরা টর্চার করতো তখন সেইন্ট জর্জ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এবং তার ফলে তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল। আসল সেইন্ট জর্জ কখনোই কোনো ড্রাগনের বিরুদ্ধে লড়াই করেননি। সম্ভবত তিনি কখনো ইংল্যান্ডেও যাননি। তবু তিনি ইংল্যান্ডে নাম্বার ওয়ান পুণ্য ব্যক্তি রূপে গণ্য হন। তারই নামে এখন টোরি পার্টি হিথরোর নাম দিয়েছে সেইন্ট জর্জ এয়ারপোর্ট।
আদিল (বিস্মিত মুখে): হঠাৎ এ নাম বদল কেন হলো?
জোনস : জানি না স্যার। তবে মনে হয়, ইংল্যান্ডে বর্তমানে যে গভীর অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা চলছে, সেটা থেকে উদ্ধার পাওয়ার আশায় নতুন প্রাইম মিনিস্টার ক্যামেরন এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন। (গলার স্বর নামিয়ে) বিটউইন ইউ অ্যান্ড মি স্যার, এয়ারপোর্টের এই নাম বদলানোটা, আমরা, এয়ারপোর্টের কোনো স্টাফই পছন্দ করিনি। চৌষট্টি বছর ধরে এই এয়ারপোর্টকে আমরা হিথরো নামেই জানি। হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই, ডেভিড ক্যামেরন প্রাইম মিনিস্টার হয়েই নাম বদলে ফেলার আদেশ দিলেন। ইলেকশনের আগে টোরি পার্টি তাদের ম্যানিফেস্টোতেও বলেনি যে হিথরো এয়ারপোর্টের নাম তারা বদলে ফেলবে। ভেরি স্যাড স্যার, ভেরি স্যাড। জানি না গভর্নমেন্ট কোন দিকে যাচ্ছে। নাম বদলানোর চাইতে অনেক বেশি দরকার এই এয়ারপোর্টের ফ্যাসিলিটিগুলো সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, কুয়ালা লামপুর এয়ারপোর্টের মতো আরো উন্নত করা। তাতে যাত্রীরা উপকৃত হতো। (পাসপোর্টে সিল মেরে দিয়ে) হিয়ার ইউ আর স্যার। এনজয় ইয়োর ট্রিপ টু লন্ডন।
আদিল (পাসপোর্ট নিয়ে): থ্যাংক ইউ অফিসার।
দৃশ্য ২
এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সিতে সিটি সেন্টারে যাবার পথে।
আদিল: এটা ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম না? এখানেই তো ১৯৬৬-এ ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল ফাইনাল ম্যাচটি হয়েছিল।
ট্যাক্সি ড্রাইভার টম: হ্যা। তা ঠিক। এখানেই সব ইম্পরটেন্ট স্পোর্টিং ইভেন্টগুলো হয়। তবে এই স্টেডিয়ামের নাম পালটে গেছে। এর নাম হয়েছে স্যার উইনস্টন চার্চিল স্টেডিয়াম। সংক্ষেপে চার্চিল স্টেডিয়াম।
আদিল: কখন থেকে এই নতুন নাম হয়েছে?
টম: গত ইলেকশনে টোরি পার্টি জেতার পর থেকে। নতুন প্রাইম মিনিস্টার ডেভিড ক্যামেরনের অর্ডারে।
আদিল: কেন তিনি এই অর্ডার দিলেন?
টম: আপনি হয়তো জানেন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ে উইনস্টন চার্চিল ছিলেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী। তারই অনুপ্রেরণায় বৃটিশরা বিজয়ী হয়েছিল হিটলারের জার্মানির বিরুদ্ধে। চার্চিল ছিলেন টোরি নেতা। তাই তার নামে এখন টোরি পার্টি ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের নাম দিয়েছে চার্চিল স্টেডিয়াম।
আদিল: আপনার তথ্যে একটু ফাক আছে। সেপ্টেম্বর ১৯৩৯-এ যখন পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে জার্মানি অভিযান চালায় তখন বৃটেন যুদ্ধ ঘোষণা করে। ওই সময়ে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেভিল চেম্বারলেইন। ১০ মে ১৯৪০-এ জার্মানি যখন হল্যান্ড ও তার পাশের দেশগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালায় তখন চেম্বারলেইন পদত্যাগ করেন। এরপর উইনস্টন চার্চিলের নেতৃত্বে টোরি, লেবার ও লিবারাল পার্টিকে মিলিয়ে, একটি অল পার্টি কোয়ালিশন বা সর্বদলীয় জোট সরকার গঠিত হয়। সেই সরকার ন্যাশনাল গভর্নমেন্ট বা জাতীয় সরকার নামে পরিচিত হয়েছিল। অর্থাৎ, দেশের ওই সঙ্কটের সময়ে চার্চিল কোনো দলীয় নেতা ছিলেন না — তিনি ছিলেন সর্বদলীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী। অথচ, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পয়ষট্টি বছর পরে চার্চিলকে ডিমোশন দেয়া হয়েছে। তাকে জাতীয় নেতা থেকে নামিয়ে দলীয় নেতা করা হয়েছে।
টম: এবার টোরি পার্টি ইলেকশনে জেতার পর থেকেই অনেক নাম বদলে ফেলছে। মনে হচ্ছে এটাই তাদের প্রধান কাজ। অথচ, তারা যে নাম বদলানোর কাজে এভাবে ঝাপিয়ে পড়বে তার বিন্দুমাত্র উল্লেখ ছিল না তাদের ইলেকশন ম্যানিফেস্টোতে।
আদিল: আর কোনো স্থাপনার নাম বদলানো হয়েছে?
টম: অনেক স্থাপনার নামই বদলানো হয়েছে। যেমন, লন্ডনের টপ হসপিটাল ওয়েলিংটন-হিউমানা-র নাম বদলে হয়েছে চার্চিল হসপিটাল, ম্যাডাম টুশো প্ল্যানেটারিয়ামের নাম বদলে হয়েছে চার্চিল নভোথিয়েটার, হাইড পার্কের নাম বদলে হয়েছে চার্চিল পার্ক। এমনকি কুইন এলিজাবেথ কনফারেন্স সেন্টারের নাম বদলে হয়েছে চার্চিল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টার। এই যে, আমরা পৌছে গেছি চার্চিল হোটেলে।
আদিল (ট্যাক্সি থেকে নেমে): চার্চিল হোটেল! ভাগ্যিস নামটা আগে থেকেই ছিল।
টম (ট্যাক্সি থেকে আদিলের সুটকেস নামিয়ে): আপনি ভাড়া দেবেন কোন কারেন্সিতে?
আদিল: পাউন্ডেই দেব। এয়ারপোর্টে আমি কারেন্সি চেঞ্জ করে নিয়েছি। কিন্তু এই প্রশ্ন কেন?
টম: লক্ষ্য করে দেখুন, সব নোট বদলে গিয়েছে। আগে পাউন্ড নোটে রানীর ছবি ছিল। এখন সব নোটে শুধুই চার্চিলের ছবি ছাপা হয়েছে। টোরি পার্টি ক্ষমতায় এসেই এসব নতুন নোট ছেপেছে।
আদিল (মানিব্যাগ বের করে কয়েকটা নোট দেখে): আশ্চর্য! তাই তো!
দৃশ্য ৩
চার্চিল হোটেলে আদিলের রুম।
টেলিফোন বাজার শব্দ।
আদিল: হ্যালো। কে বলছেন?
অপর প্রান্ত থেকে টেলিফোন কলার: আমি মহামান্য রানীর প্রাইভেট সেক্রেটারি বলছি।
আদিল (চমকিত হয়ে): আপনি আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন?
প্রাইভেট সেক্রেটারি: বিশেষ জরুরি কারণে মহামান্য রানী চাইছেন আপনার সঙ্গে কিছু কথা বলতে। তিনি অনুরোধ করেছেন আমার সঙ্গে আপনাকে যেতে। আমি হোটেলের রিসেপশনে অপেক্ষা করছি। আপনি কি দয়া করে আসবেন? প্লিজ।
আদিল (অবাক হয়ে): মহামান্য রানী আমার সঙ্গে কথা বলতে চান! এ তো পরম সৌভাগ্য আমার। আমি আসছি। কিন্তু আমার সঙ্গে কেন কথা বলতে চান তিনি? তিনি কী করে জানলেন যে আমি এই হোটেলে আছি?
প্রাইভেট সেক্রেটারি: মহামান্য রানীর প্রাইভেট সিকিউরিটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা জেনেছি, আপনি লন্ডনে এসে নাম বদলের পালা দেখে কৌতূহল প্রকাশ করেছেন। আমরা এটাও জেনেছি যে আপনি উইনস্টন চার্চিল বিষয়ে জ্ঞান রাখেন। মহামান্য রানী এই বিষয়েই আলাপ করতে আগ্রহী।
দৃশ্য ৪
বাকিংহাম প্যালেস। দেয়ালে একটা স্কৃনের টিভি সাইলেন্টলি চলছে। কফি টেবিলের দুই দিকে মুখোমুখি আসনে আদিল এবং রানী এলিজাবেথ।
মহামান্য রানী এলিজাবেথ: বিনা নোটিশে আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছি এ জন্য দুঃখিত। আপনি যে দয়া করে এসেছেন সে জন্য কৃতজ্ঞ।
আদিল: অ্যাট ইয়োর সার্ভিস, ইয়োর ম্যাজেস্টি।
রানী: আমি পত্রিকায় পড়েছি বৃটেনের আগে বাংলাদেশ নাম বদলের পালা শুরু করেছিল সেখানের নবনির্বাচিত সরকার। আমার নাম নিয়ে এখানের নবনির্বাচিত সরকার টানাহেচড়া করছে। আমাকে উপদেশ দিন, আমি বৃটেনে কীভাবে নিজের নাম রক্ষা করতে পারি।
আদিল: আমি কল্পনাও করতে পারিনি আমাকে এত বড় দায়িত্ব দেবেন। ইয়োর ম্যাজেস্টি, এক্ষেত্রে আপনার সামনে বোধহয় মাত্র দুটি পথই খোলা আছে। প্রথম পথটি হলো উইনস্টন চার্চিলকে জাতির রক্ষক ঘোষণা করুন। তার জন্ম ও মৃত্যু উভয় দিবসেই ছুটি দিন।
রানী: সে কী করে হয়? আমি তো ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার অফ দি ফেইথ বা ধর্মের রক্ষক। ১৫২১-এ পোপ দশম লিও এই টাইটেল দিয়েছিলেন রাজা অষ্টম হেনরিকে। তখন থেকে ইংল্যান্ডের সব রাজা বা রানী এই টাইটেল নিয়ে দেশ শাসন করেছেন। এখন চার্চিলকে যদি জাতির রক্ষক ঘোষণা করি এবং অন্যদিকে যদি আমি ধর্মের রক্ষক থাকি — তাহলে দেশবাসীর কাছে বিষয়টা খুব জটিল মনে হতে পারে। তাছাড়া চার্চিল তো আর জীবিত নেই। তিনি মারা গিয়েছেন পয়তাল্লিশ বছর আগে। তাকে নিয়ে টোরি পার্টি টানাহেচড়া করতে চায়, করুক। কিন্তু সেটা আমার রুচিতে বাধবে।
আদিল: তাহলে দ্বিতীয় পথে চেষ্টা করতে পারেন।
রানী: সেটা কী?
আদিল: আপনি বাংলাদেশের ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে আপনার আইনজীবী নিযুক্ত করুন। তাকে লন্ডনে নিয়ে আসুন। সরকারের বিরুদ্ধে তাকে দিয়ে মামলা দায়ের করুন।
রানী: আমার দেশে এত বাঘা বাঘা সব কিউসি, ব্যারিস্টার থাকা সত্ত্বেও ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে কেন?
আদিল: ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সরকারের বিরুদ্ধে মামলা লড়তে এক্সপার্ট। তার সাকসেস রেট ভালো। ইংল্যান্ডেও তিনি সফল হতে পারেন।
টেলিভিশনে ব্রেকিং নিউজ স্ক্রল দেখে রানী তুলে নিলেন রিমোট কনট্রোল।
রানী: এক্সকিউজ মি। একটু নিউজটা শুনে নিই। আমার সম্পর্কেই ব্রেকিং নিউজ যাচ্ছে। বৃটেনের সব ডাকটিকেট থেকে আমার ছবি বাদ দিয়ে চার্চিলের ছবি ছাপার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাকিংহাম প্যালেসেরও নতুন নাম দিয়েছে সরকার…।
আদিল: নিশ্চয়ই চার্চিল প্যালেস?
রানী (বিষণ্ন মুখে টিভি নিউজ দেখতে দেখতে): হ্যা। তাই। আমার মনে হচ্ছে, ইংল্যান্ডের নামও বদলিয়ে সরকার নতুন নাম দেবে চার্চিল্যান্ড।
নিউজ শেষের পর টিভি অফ করলেন রানী।
রানী: ঠিক আছে। আমি দ্বিতীয় পথেই যাবো। আমি তো সরকারকে এড়িয়ে ঢাকায় বৃটিশ হাই কমিশনারের মাধ্যমে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবো না। আপনি কি এই দায়িত্বটা নিতে পারবেন? প্লিজ।
আদিল: নিশ্চয়ই ইয়োর ম্যাজেস্টি। ১৯৬৩-তে ইয়েন ফ্লেমিং লিখেছিলেন তার জেমস বন্ড সিরিজের একাদশতম উপন্যাস অন হার ম্যাজেস্টিস সিক্রেট সার্ভিস। সাতচল্লিশ বছর পরে আমি অন হার ম্যাজেস্টিস সিক্রেট লিগাল সার্ভিসের দায়িত্ব পেয়ে খুবই গর্বিত বোধ করছি। (হাটু গেড়ে বসে) আই অ্যাম অনার্ড। থ্যাংক ইউ, ইয়োর ম্যাজেস্টি।

৯ মার্চ ২০১০

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন